এবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে, যা সামনের দিকে আরও উন্নত হবে।
এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই থাকুক বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক অটুট থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম পাঠানোয় চীনের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার ও পুনর্গঠন। বিপ্লবের পর চীন যেভাবে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায়, কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশ ও বিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সংস্কার কাজে চীনের পরামর্শ ও সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের মাধ্যমে একটা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে পারবে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। সাক্ষাৎকালে আরও ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, দূতাবাসের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক কাউন্সিলর সং ইয়াং এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব চুই ইয়াফেং।